How to make your PC run faster in Bengali 2022। কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর 16 টি সুপার হট টিপস

কম্পিউটার যখন পুরনো হয়ে যায় তখন ধীরে ধীরে স্লো হতে থাকে। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটারের অপ্রয়োজনীয় ফাইল এবং সফট্ওয়ারে ভরে যায়। যা আপনার কম্পিউটারের গতিকে কমিয়ে দেয়। এর জন্য আপনার কম্পিউটার টা কে পরিবর্তন করবার কোন প্রয়োজন নেই অথবা কোন এক্সপার্ট এর কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

আপনি বাড়িতে বসেই নিজে থেকেই অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তো আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক যে কোনোরকম পয়সা খরচ না করে কিভাবে আপনারা বাড়িতে বসেই আপনাদের কম্পিউটারের গতি বাড়াবেন।

উইন্ডোজ পিসি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্লো হয়ে যায় এটা স্বাভাবিক কিন্তু আপনি কিছু টিপস ফলো করে আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়াতে পারেন।

তো বন্ধুরা কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর আগে আমরা দেখে নেবো যে আপনার কম্পিউটারটা এখন কতটা ফাস্ট আছে?

কিভাবে আপনাদের কমপিউটারের পারফরমেন্স চেক করবেন ?

Table of Contents

  • তো বন্ধুরা প্রথমে আপনাদের কম্পিউটারে যে কীবোর্ড আছে সেখান থেকে উইন্ডোজ কি +R আর একসঙ্গে প্রেস করতে হবে। তাহলে আপনার সঙ্গে একটি পপ-আপ বক্স আসবে সেখানে আপনাকে perfmon টাইপ করে ওকে করতে হবে।
  • তারপর আপনার সামনে একটি উইন্ডো খুলে যাবে যার বাঁদিকে ডেটা কন্ট্রোলার সেট একটি অপশন থাকবে সেটাতে ক্লিক করতে হবে তাহলে আপনার সামনে সিস্টেম মেনু খুলে যাবে । তারপর আপনাকে সিস্টেমের উপর ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার সামনে সিস্টেম পারফরম্যান্স অপশনটি আসবে তার উপর রাইট ক্লিক করুন এবং স্টার্ট অপশনে ক্লিক করুন।
  • সিস্টেম মেনুর নিচেই দেখুন রিপোর্ট বলে একটি অপশন আছে তাতে ক্লিক করুন। সেখানে সিস্টেম বলে একটি অপশন দেখতে পাবেন তার ওপর ক্লিক করুন।
  • তারপর সিস্টেম পারফরম্যান্স হলে একটি ফোল্ডার দেখতে পাবেন তার উপর ক্লিক করুন সেখানে একটি ফাইল দেখতে পাবেন তার উপর ক্লিক করুন।
  • এখন দেখুন আপনার কম্পিউটার পারফরম্যান্স রিপোর্ট আপনি আপনার স্ক্রিনে দেখতে পাবে।

কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর উপায়

পাওয়ার সেটিং পরিবর্তন করুন

আপনি যদি কম্পিউটারে পাওয়ার সেভার মোড ব্যবহার করেন তাহলে আপনি আপনার কম্পিউটারকে স্লো করছেন। পাওয়ার সেভিং মোড আপনার কম্পিউটারের শক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের পারফরম্যান্স কে স্লো করে দেয়। সেই জন্য আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের পারফরমেন্সকে বুস্ট করতে চান তাহলে পাওয়ার সেভার মোট পরিবর্তন করুন এবং ব্যালেন্স পারফরম্যান্স অথবা high-performance অপশনটি সিলেক্ট করুন।

তো এখন আসা যাক যে এই সেটিং টি আপনি কিভাবে পরিবর্তন করবেন। প্রথমে আপনাকে কম্পিউটারের কন্ট্রোল প্যানেল এ যেতে হবে তারপর পাওয়ার অপশনস বলে একটি অপশন থাকবে তার ওপর ক্লিক করতে হবে।

সেখানে আপনি আপনার পাওয়ার প্লান্ট টা কে কাস্টমাইজ করতে পারবেন সেখানে যদি আপনার পাওয়ার সেভার মোড অন থাকে সেখান থেকে আপনার ব্যালেন্স মোড করতে হবে। আপনি যদি চান আপনার কম্পিউটার তার বেস্ট পারফরমেন্স দিক তাহলে আপনাকে হাই পারফরম্যান্স অপশনটি অন করতে হবে। হাই পারফরম্যান্স অপশনটি অন করবার জন্য আপনি দেখবেন পাওয়ার সেভার অপশন এর নিচে একটি শো অ্যাডিশনাল প্লান বলে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করতে হবে তারপর আপনি high-performance অপশনটি দেখতে পাবেন সেই অপশনটি সিলেক্ট করলে আপনার কম্পিউটার পারফরম্যান্স বুষ্ট হবে।

অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন

কম্পিউটার স্লো হওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার এর চলতে থাকা। সেই জন্য আপনি যে এপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার গুলো ইউজ করেন না বা খুব কম ইউজ করেন সে সমস্ত এপ্লিকেশনগুলোকে বন্ধ করে দেয়া উচিত। এর ফলে আপনার কম্পিউটার আগের চেয়ে আরো ভালো চলবে।

তো এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনার কম্পিউটারে ব্যাকগ্রাউন্ডে যে সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলো চলছে সে গুলোকে কিভাবে বন্ধ করবেন।

 ব্যাকগ্রাউন্ডে যে সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন চলছে সেগুলো জানবার জন্য আপনাকে প্রথমে টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করতে হবে। টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করবার জন্য আপনাকে কিবোর্ড থেকে CTRL+SHIFT+ESC একসঙ্গে প্রেস করতে হবে তাহলে আপনার সামনে টাস্ক ম্যানেজার উইন্ডো ওপেন হবে। এছাড়াও আপনারা উইন্ডোজ 3 এবং ইলেভেনের সার্চ অপশনে গিয়ে টাস্ক ম্যানেজার লিখে সার্চ করলেও একই উইন্ডো ওপেন হবে।

টাস্ক ম্যানেজারে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড এ যে সমস্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলো চলছে সেগুলি সমস্তই দেখতে পাবেন এবং এখান থেকে আপনার অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনগুলি বন্ধ করতে পারবেন।

টাস্ক ম্যানেজারে স্টার্টআপ ট্যাব বলে একটি অপশন রয়েছে তার ওপর ক্লিক করে আপনার কম্পিউটার যখন স্টার্ট করেন তার সঙ্গে যে অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালু হয় সেগুলো দেখতে পাবেন। সেখানে আপনি পুরো লিস্ট পেয়ে যাবেন তারমধ্যে যে অ্যাপ্লিকেশনগুলো অপ্রয়োজনীয় আপনার কোন কাজে লাগে না সেগুলি বন্ধ করতে নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনটির উপর ক্লিক করুন তারপর disable অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনটি বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি যদি ভুলবশত কোনো অ্যাপ্লিকেশন কে বন্ধ করে ফেলেন আপনি পড়ে ট্রাস্ট ম্যানেজার এসে সেই আপনি অ্যাপ্লিকেশনটি কি আবার চালু করতে পারবেন।

রেডি বুষ্ট ফিচারটি ব্যবহার করুন

উইন্ডোজ 10 ও 11 নিয়মিত আপনার ক্যাসে ডাটা কে আপনার হার্ডডিস্কে সঞ্চয় করে রাখে যাতে আপনার যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আপনাকে তথ্য প্রদান করতে পারে। আপনার কম্পিউটারের কত তাড়াতাড়ি ডেটা fetch হবে সেটা নির্ভর করে আপনার হার্ডডিস্কের গতির উপর। আপনি যদি এখনও SSD এর পরিবর্তে পুরাতন হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করেন তাহলে এই রেডি বুষ্ট ফিচারটির মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের পারফরম্যান্স বা গতি বৃদ্ধি করতে পারেন। এটি আপনার ক্যাস ডেটাকে USB ফ্লাশ ড্রাইভ এ সঞ্চয় করে  যেটি আপনার হার্ড ড্রাইভে থেকে দ্রুত কাজ করে। এই ক্যাসে আপনার সিস্টেমের স্পিড কে আরো বাড়িয়ে দেয়।

সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ইউএসবি ফ্লাশ ড্রাইভ আপনার কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। আপনার ফ্ল্যাশ ড্রাইভ টি মিনিমাম 2.0 এবং 3.0 অথবা এর চেয়ে বেশি হতে পারে যেটি আপনার কম্পিউটারে সাপোর্ট করে। আপনার ফ্ল্যাশ ড্রাইভ টি যতটা দ্রুত হবে আপনার কম্পিউটারের গতি ততোই বুস্ট হবে।

ম্যাক্সিমাম পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য আপনারা আপনার কম্পিউটারে যে সাইজের Ram লাগানো আছে তার ডবল সাইজের ফ্লাশ ড্রাইভ ইউজ করতে পারেন।

এক্ষেত্রে একটা কথা বলে রাখা ভাল আপনি যদি কম্পিউটারে এসএসডি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি রেডিবুষ্ট ফিচারটি থেকে কোনরকম এক্সট্রা স্পিড পাবেন না। এটি আপনার কম্পিউটার পারফরম্যান্স কে আরো স্লো করতে পারে। তাই আপনার কম্পিউটারে এসএসডি লাগানো থাকলে আপনি রেডি বুষ্ট ফিচারটি ব্যবহার করবেন না।

উইন্ডোজ টিপস বন্ধ করুন

আপনি দেখে থাকবেন যখনই আপনি কোন কাজ করবেন তখন আপনার কম্পিউটার আপনাকে অনেক সময় নানান রকম টিপস দিয়ে থাকে যে সেই কাজটি আপনি কিভাবে করবেন। তো আপনি বন্ধুরা যদি কম্পিউটার সম্পর্কে খুবই কম জেনে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার এই টিপসগুলো কাজে আসতে পারে ঠিকই কিন্তু আপনি যদি অল্প বিস্তর কম্পিউটার সম্পর্কে জানেন সে ক্ষেত্রে নিজেদের কাজে আসবে না। তো আপনি যদি চান এই ধরনের কোন উপদেশ কম্পিউটার আপনাকে না দিক তাহলে আপনি এটি সেটিং অপশনে গিয়ে বন্ধ করতে পারেন।

তো বন্ধুরা কম্পিউটারের এই টিপস দেওয়া বা উপদেশ দেওয়া কিভাবে আপনি বন্ধ করবেন চলুন দেখে নেওয়া যাক-

  • প্রথমে উইন্ডোজ আইকনে ট্যাপ করুন।
  • তারপর সেটিং অপশনে যান।
  • ফাইন্ড এ সেটিং অপশন থেকে আপনারা নোটিফিকেশন এন্ড একশন লিখে সার্চ করুন।
  • তারপর দেখুন আপনার গেট টিপস অপশনটি টিক মার্ক দেয়া থাকলে সেটিং আনচেক করুন।

এইভাবে খুব সহজেই আপনারা কম্পিউটারের গেট টিপস অপশনটি বন্ধ করতে পারবেন। ফলে আপনি যখন কম্পিউটার ব্যবহার করবেন আপনাকে কোনরকম উপদেশ কম্পিউটার আর দেবে না।

ওয়ান ড্রাইভ এর সিঙ্ক্রোনাইজ বন্ধ করুন

আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন ডকুমেন্ট ফটো ফাইল ওয়ানড্রাইভ সিঙ্ক্রোনাইজ করে রাখি। এর ফলে কম্পিউটারের গতি অনেকটা স্লো হতে পারে । ওয়ানড্রাইভ যদি প্রতিনিয়তই আপনার কম্পিউটারের সমস্ত ফাইলগুলো সিঙ্ক্রোনাইজ করতে থাকে তাহলে আপনার কম্পিউটার কিছুটা স্লো হয়ে পড়বে।

সেই জন্য আপনি ওয়ানড্রাইভ সিঙ্ক্রোনাইজ স্টপ করে রাখতে পারেন।

ওয়ান ড্রাইভ এর অন ডিমান্ড ফিচারটি ব্যবহার করুন

ওয়ান ড্রাইভের একটি on-demand ফিচার রয়েছে যেটি আপনি ইউজ করতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলি বেকআপ নেয়ার জন্য। এই ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রয়োজনমতো নির্দিষ্ট ফাইলটিকে সিঙ্ক্রোনাইজ করতে পারবেন এবং ব্যাকআপ রাখতে পারবেন।

এতে আপনার কম্পিউটার স্লো হবে না এবং একই সাথে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো ব্যাকআপ রাখতে পারবেন।

ওয়ান ড্রাইভ এর সেটিং অপশনে গিয়ে আপনি অন ডিমান্ড ফিচারসটি অন করতে পারবেন।

সার্চ ইনডেক্সিং বন্ধ করুন

আপনি সার্চ ইনডেক্সিং বন্ধ করেও কম্পিউটারের গতি অনেকটা বাড়িয়ে তুলতে পারেন। এমনকি আপনি যদি কম্পিউটারে এসএসডি ব্যবহার করেন তবুও সার্চ ইনডেক্সিং বন্ধ রাখাই ভালো।

ম্যাক্সিমাম বেনিফিট পাওয়ার জন্য আপনাদের সার্চ ইনডেক্সিং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখায় ভালো।

সার্চ ইনডেক্সিং বন্ধ করার জন্য আপনাকে

  • সার্চ বক্সে গিয়ে services.msc লিখে এন্টার করতে হবে।
  • আপনার সামনে একটি পেজ ওপেন হবে যেখান থেকে আপনাকে ইনডেক্সিং সার্ভিস এটি খুঁজে বের করতে হবে।
  • তারপর ইনডেক্সিং সার্ভিস এর উপর আপনাকে ডবল ক্লিক করতে হবে।
  • তারপর আপনার সামনে একটি পপ-আপ খুলবে সেখানে স্টপ বাটন এ ক্লিক করতে হবে।
  • তারপর আপনার কম্পিউটারটি rebot করতে হবে।

হার্ডডিক্স পরিষ্কার রাখুন

 আপনার হার্ড ড্রাইভ যদি বিভিন্ন ফাইল ও ফোল্ডারের ভর্তি হয়ে থাকে তাহলেও আপনার কম্পিউটারটি পারফরম্যান্স কম দেবে। আপনি যদি আপনার কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ ফাকা রাখুন।

উইন্ডোজ 10 এ ইনবিল্ট একটি অপশন আছে যেটি অন করে আপনি আপনার কম্পিউটারের যে সমস্ত টেম্পোরারি ফাইল এবং রিসাইকেল বিনে যে সমস্ত ফাইলগুলো আছে সেগুলিকে অটোমেটিক ডিলিট করতে পারেন। এই স্টোরেজঃ সেন্স অপশনটি অন করে রাখলে আপনার কম্পিউটার নিজে থেকেই কম্পিউটারের যে সমস্ত টেম্পোরারি ফাইল আছে সেগুলি মুছে ফেলতে পারবে।

আপনি আপনার প্রয়োজন মত স্টোরেজ সেন্স টিকে কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

রেজিস্ট্রি ক্লিন করুন

আপনার কম্পিউটার আপনার সমস্ত কাজ ট্র্যাক করে রাখে, আপনার সমস্ত রেজিস্ট্রি সমস্ত সেটিং কম্পিউটারে সেভ হতে থাকে। যা আপনার কম্পিউটারের গতি মন্থর করতে পারে। এমনকি আপনি যখন কোন এপ্লিকেশন আনইন্সটল করে দেন তার পরও তার সেটিং গুলো আপনার কম্পিউটারে জমা হতে থাকে যেগুলো আপনার সিস্টেমটিকে স্লো করে দিতে পারে।

রেজিস্ট্রি ক্লিন করবার জন্য মার্কেটে বিভিন্ন ফ্রি এবং পেইড অ্যাপ্লিকেশন এভেলেবেল রয়েছে যা আপনার কম্পিউটারে রেজিস্ট্রি গুলিকে মুছতে সাহায্য করবে। কিন্তু কোনোরকম রেজিস্ট্রি মুছে ফেলবার আগে অবশ্যই একটি ব্যাকআপ নিয়ে রাখবেন যাতে যদি কোনরকম সমস্যা হয় আপনি সে গুলোকে ঠিক করতে পারেন।

অ্যানিমেশন এবং ভিজুয়াল ইফেক্ট বন্ধ করুন

আমাদের কম্পিউটারে অনেক রকম অ্যানিমেশন এবং ভিজুয়াল ইফেক্ট রয়েছে যেগুলো  আমাদের দেখতে খুবই ভালো লাগে। কম্পিউটার যখন নতুন থাকে তখন এই ধরনের ইফেক্ট সিস্টেম পারফরম্যান্সের কোনো প্রভাব ফেলে না কিন্তু কম্পিউটার যখন পুরনো হয়ে যায় তখন এই ধরণের অ্যানিমেশন এবং ভিজুয়াল ইফেক্ট কম্পিউটারের গতিকে অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে। আপনি চাইলে এই ধরনের অ্যানিমেশন গুলিকে বন্ধ করে আপনার কম্পিউটারের পারফরম্যান্স কে কিছুটা হলেও বাড়াতে পারেন।

এবার দেখে নেয়া যাক কিভাবে আপনারা এই অ্যানিমেশন গুলো বন্ধ করবেন-

  • প্রথমে আপনাদের সার্চ বক্সে টাইপ করতে হবে sysdm.cpl তারপর এন্টার করতে হবে।
  • আপনার সামনে সিস্টেম প্রপার্টিজের একটি ডায়ালগ বক্স খুলবে
  • তারপর আপনাকে এডভান্স অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনাকে পারফরম্যান্স সেটিং অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এখানে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটা লিস্ট আসবে।

আপনার হাতে যদি সময় থাকে তাহলে আপনি এক এক করে সেই অ্যানিমেশন গুলোকে  বন্ধ করতে পারবেন।

আপনার হাতে যদি সময় না থাকে তাহলে আপনি অ্যাডজাস্ট ফর বেস্ট পারফরমেন্স অপশনটি সিলেক্ট করতে পারেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইফেক্ট বন্ধ করুন

অ্যানিমেশন এবং ভিজুয়াল ইফেক্ট এর মত ট্রান্সপারেন্সি ইফেক্ট বন্ধ করে আপনার কমপিউটারের পারফরমেন্স বাড়াতে পারেন।

আসুন এবার দেখে নেয়া যাক ট্রান্সপেরেন্সি ইফেক্ট কিভাবে বন্ধ করবেন –

প্রথমে সেটিং অপশনে যান সেখান থেকে পার্সোনালাইজেশন অপশনটিতে ক্লিক করুন সেখানে দেখুন কালার নামে একটি অপশন আছে তার নীচের ট্রান্সপেরেন্সি ইফেক্ট একটি অপশন আছে সেটি অফ করুন।

অটোমেটেড উইন্ডোজ মেনটেনেন্স অন করুন

অটোমেটিক উইন্ডোজ মেনটেনেন্স অপশনটি অন রাখুন। এটি আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যা আপনা থেকেই সমাধান করে দিতে সক্ষম।

আপনি যদি ভুলবশত কখনো এটিকে অফ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সিস্টেম মেনুতে গিয়ে এটিকে অন করুন। আপনি মেনটেনেন্স এর জন্য একটি নির্দিষ্ট টাইমও সেট করতে পারেন।

Bloatware ক্লিন করুন

অনেক সময় আপনার কম্পিউটার ব্লটওয়ার  এবং অ্যাডওয়্যার দ্বারা প্রভাবিত  হয়ে স্লো হয়ে যেতে পারে। সেজন্য কোন এন্টিভাইরাস ইউজ করে আপনি এগুলোকে ডিলিট করতে পারেন। আপনি যদি উই্ডোজ 10 ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আপনার উইন্ডোজ ডিফেন্ডার থাকে যেটি আপনার কম্পিউটারকে বিভিন্ন malware এবং bloatware এর  হাত থেকে রক্ষা করে।

এছাড়াও আপনি নর্তন Security  এবং McAfee LiveSafe সিকিউরিটি সফটওয়্যারগুলিও ব্যবহার করতে পারেন।

হার্ডডিস্ক Defrag করুন

আপনি আপনার হার্ডডিস্ক যতই ইউজ করবেন আপনার কম্পিউটার ততই ধীরে ধীরে স্লো হতে থাকবে। কারন আপনার হার্ডডিস্ক অধিক ব্যবহারের ফলে ফ্র্যাগমেন্টেড হতে থাকে।

আপনি যদি উইন্ডোজ টেন ব্যবহার করেন তাতে একটি ইনবিল্ট ডিফ্রাগমেন্টর থাকে যার সাহায্যে আপনি আপনার হার্ডডিস্কটিকে Defrag করতে পারেন। আপনি এটিকে অটোমেশনেও রাখতে পারেন যাতে এটি নিয়মিত আপনার হার্ডডিস্কটিকে  ক্লিন করতে থাকে।

  • প্রথমে সার্চ বক্সে defrag লিখে এন্টার প্রেস করতে হবে।
  • তারপর আপনার সামনে অপটিমাইজিং ড্রাইভ নামে একটি ডিসপ্লে আসবে।
  • আপনি যে ড্রাইভ টি অপটিমাইজ করতে চান সেই ড্রাইভ সিলেক্ট করুন।
  • তারপর অপটিমাইজ অপশনটিতে ক্লিক করুন।

একই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি এক বা একাধিক ড্রাইভ অপটিমাইজ অর্থাৎ defrag করতে পারবেন।

গেম মোড বন্ধ করুন

আপনি যদি একজন সিরিয়াস গেমার হয়ে থাকেন তাহলে গেম মোড সম্পর্কে আপনি অবশ্যই জেনে থাকবেন।game মোড গেম খেলার জন্য কম্পিউটারটিকে অপটিমাইজ করে থাকে। এটা খুবই ভালো যদি আপনি শুধুমাত্র গেমিং করে থাকেন। কিন্তু এটি আপনার কম্পিউটারকে স্লো করে দেয় যখন আপনি গেম খেলেন না। সেই কারণে আপনি যখন গেম খেলবেন না তখন গেম মোডটি অফ রাখুন।

বাই ডিফল্ট সমস্ত কম্পিউটারের গেম মোড টি অন থাকে। আপনি গেম খেলুন অথবা নাই খেলুন।

গেম মোড টি অফ করার জন্য প্রথমে সেটিং অপশনে গিয়ে গেমিং অপশনে ক্লিক করতে হবে তারপর দেখবেন গেম মোড অন রয়েছে সেটিকে অফ করতে হবে।

আপনার কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন

আপনি আপনার কম্পিউটার বন্ধ করুন এবং পুনরায় restart করুন। এটি করে আপনি Ram এর exces ব্যবহার বন্ধ করতে পারবেন। এর ফলে আপনার সিস্টেমটি স্মুদ চলবে।

উপসংহার

আপনার পছন্দমত উপরের যেকোন প্রসেস ফলো করে আপনি আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়াতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি এসএসডি ব্যবহার না করেন তাহলে এসএসডি লাগিয়ে এবং এক্সট্রা RAM অ্যাড করে কম্পিউটারের গতি বাড়ানো সম্ভব।

 এছাড়াও যদি কোন পদ্ধতি আপনাদের জানা থাকে তো অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না।

Leave a Comment