আপনিও শিউরে উঠবেন ফেসবুক সম্পর্কে এই আশ্চর্য্য জনক তথ্যগুলি জানলে|You will also be amazed to know these amazing facts about Facebook in Bengali 2022

4ঠা ফেব্রুয়ারি 2004 সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও 2006 সালের পর থেকেই ফেসবুক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এক বিশাল আকার ধারণ করে। বর্তমানে যাদের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে তারা প্রায় সকলেই ফেসবুক ব্যবহার করেন। যোগাযোগের সর্বশেষ্ঠ মাধ্যম হিসেবে অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করেন। অনেকে বিনোদনের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন। অনেকে আবার অর্থ উপার্জন করতেও ফেসবুক প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যবহার করেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ফেসবুক আমাদের জীবনের জন্য কতটা উপকারী? সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণা থেকে আশ্চর্যজনক কিছু উত্তর বেরিয়ে এসেছে যেগুলো নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।

আজ এই পোস্টে ফেসবুক সম্পর্কে কিছু এক্সক্লুসিভ তথ্য প্রদান করব যা জানলে হয়তো আপনাদের মনের অজান্তেই আপনারা সিউরে উঠবেন-

উচ্চমাত্রার আসক্তি সৃষ্টিকারী সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম

কোনকিছুই অতিরিক্ত মাত্রায় করা ঠিক নয় এটা আপনারা হয়তো আপনাদের গুরুজনদের কাছে শুনে থাকবেন। আর কোন কিছু অতিরিক্ত মাত্রায় আসক্তি থাকাটা এক প্রকার ব্যধি হিসেবেই গণ্য করা হয়। তাই কোন বিষয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় আসক্তি থাকলে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং ব্যক্তিগত বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। এখন কথা হচ্ছে আপনি ফেসবুকের প্রতি আসক্ত কিনা সেটা কিভাবে বুঝবেন। তার জন্য কয়েকটি প্যারামিটার নিচে দেয়া হল সেগুলি আপনারা মিলিয়ে দেখতে পারেন আপনাদের সাথে ফোনগুলোর মিল আছে।

আসক্তির প্যারামিটার

  • দিনে একাধিকবার ফেইসবুক ওপেন করেন এবং ছবি এবং স্ট্যাটাস আপডেট করেন।
  • ছবি অথবা স্ট্যাটাস আপলোড করার পর ঘন ঘন নোটিফিকেশন চেক করেন।
  • বারবার স্ট্যাটাসের কটা লাইক পড়েছে কটা কমেন্ট পড়েছে চেক করেন।
  • ফেসবুক ছাড়া আপনি এক মুহূর্ত থাকতে পারেন না। সারাদিন যা করেন সব সময় ফেসবুকে শেয়ার করতে মন চায়।
  • উপরের পয়েন্টগুলি যদি আপনার অপছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনি ফেসবুকে আসক্ত কারণ সত্যি কথা কারোও ভালো লাগেনা।
  • এছাড়াও আপনি যদি ফেসবুকের শর্ট ভিডিও দেখি ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেন তা হলেও আপনি খুব শিগগিরই সামাজিক এবং মানসিক বিপর্যয়ের মাঝে পড়তে চলেছে তাই যতটা সম্ভব ফেসবুক থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন, মাঠে যান ক্রিকেট-ফুটবল খেলুন আনন্দে থাকুন।

ফেসবুক আপনার চিন্তাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে

 আপনি কি জানেন আপনার চিন্তা শক্তি ফেসবুক দ্বারা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয়। ফেসবুকে যে সমস্ত পোস্ট করা হয় সেই পোস্ট গুলো দেখে আপনি সেগুলি কে সত্যি মনে করে বাস্তবের সঙ্গে তার তুলনা করেন। এমনকি নিজের সঙ্গেও তুলনা করেন। কারন আপনারা হয়তো খেয়াল করে থাকবেন আপনি যে ধরনের কনটেন্ট দেখেন ফেসবুক আপনাকে সেই ধরনের কনটেন্ট সাজেস্ট করে। কারণ ফেসবুকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এবং আপনার গতিবিধি কে নিয়ন্ত্রণ করে চিন্তাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা করে।

ফেসবুক আমাদের কি নিয়ে সেটা মনে করিয়ে দেয়

ফেসবুকে আমরা অনেক সময় দেখতে পারবেন বিভিন্ন রকম পোস্ট যেগুলিতে কেউ কেউ তার নতুন ফোন অথবা নতুন গাড়ি কিনে স্ট্যাটাস দিচ্ছে যেগুলি দেখে আপনার মনে হতে পারে যে তারা কত ভালো আছে তাদের কতকিছু রয়েছে আর আপনার কিছুই নেই। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রিলেশনশিপ তথ্য জানতে পারেন নিউজ থেকে যেখানে বিভিন্ন রকম হ্যাপি কাপল দের ছবি এবং  স্টোরি দেখে আপনার  মনে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনার উদয় হয়। অনেকেই আবার তাদের দুঃখ বেদনা কষ্টের বই প্রকাশ করেন ফেসবুক স্টোরিতে । এগুলোর দ্বারা সামাজিকভাবে কোন উপকার না হলেও মানসিক দিক থেকে আমরা আমাদের অভাবটা বুঝতে পারি।

অনেকের কাছে ইন্টারনেট মানেই ফেসবুক

অনেকে তো ফোনে ইন্টারনেট না থাকাকে মৃত ফোন বলে মনে করেন। ইন্টারনেট ছাড়া একটি মুহূর্ত কাটানো দুষ্কর হয়ে ওঠে। অনেকের কাছে তো এই ইন্টারনেট মানে ফেসবুক। তারা দিনরাত ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে গল্প করে চলেছে হয়তো বাস্তবে দাঁড়া বন্ধুর সাথে দেখা হলে কথা বলে না বাড়ি গিয়ে এসএমএস করে জানায় তোকে ওই খানে দেখলাম। অনেকে তো বাচ্চাদের চুপ করানোর জন্য ইন্টারনেট কে ব্যবহার করে থাকে বাচ্চারা যখন খেতে চায় না তাদের হাতে একটা ফোন দিয়ে দাও তারা ঠিক খেয়ে নেবে। এই ধরনের ঘটনা আপনার সাথে হয়তো করে থাকবে। এ ধরনের ইন্টারেস্টিং কোন ঘটনা আপনার জানা থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন যা পাঠকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

আমাদের শান্তির ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে

এখন আসা যাক ফেসবুক কিভাবে আপনার শান্তির ব্যাঘাত ঘটায়। বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের ব্যক্তিগত জীবনের সুখ দুঃখে বিভিন্ন পোস্ট ফেসবুকে করে থাকেন। সেগুলোর সঙ্গে আপনাদের বাস্তব জীবনে যদি কিছুটাও মিল পাওয়া যায় আপনারা সেই পোষ্টের সঙ্গে আপনার নিজের জীবনকে মেলাতে শুরু করেন। এবং সেই ঘটনার যে পরিস্থিতি হয়েছিল আপনারও সেই পরিস্থিতি হবে বলে মেনে নেন যা আপনার সুস্থ সুন্দর জীবনে শান্তির ব্যাঘাত ঘটায়।

আজকাল মানুষের মধ্যে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হতাশা এবং কর্মের উপর অনিচ্ছা দেখা যায় যা কিন্তু অনেকাংশেই ফেসবুকের জন্য।

উপসংহার

ফেইসবুক অ্যাডিকশন সম্পর্কিত কোন মজার ঘটনা আপনার সঙ্গে ঘটে থাকলে অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করুন এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করুন।

FAQ.

প্রশ্ন:সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ছেড়ে দিলে কি ঘটবে?

উত্তর:প্রথমত আপনি যদি একবারে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ছেড়ে দেন তাহলে আপনার মোটেও ভালো লাগবে না। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে চান তাহলে আপনাকে ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কমাতে হবে তারপর আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাডিকশন ছাড়তে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাডিকশন ছেড়ে দিলে আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস অনেকাংশে বেড়ে যাবে এবং কাজের প্রতি অনিচ্ছা দূর হবে।

প্রশ্ন:ফেইসবুক অ্যাডিকশন কি?

উত্তর:আপনি যদি মিনিটে মিনিটে আপনার ফেসবুকের পোস্ট করা ছবি লাইক কমেন্ট দেখতে থাকেন তাহলে বুঝবেন আপনি ফেসবুক অ্যাডিক্টেড। আপনি যদি ফেসবুক ব্যবহার করতে করতে আপনার খাওয়া দাওয়ার কথা ভুলে যান তাহলেও আপনি ফেসবুক এডিকটেড।

প্রশ্ন:কতক্ষণ ফেসবুক ব্যবহার করা উচিত?

উত্তর:ফেসবুক কতক্ষণ ব্যবহার করা উচিত সেই বিষয়ে কোনো রকম বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে আপনি আপনার সমস্ত কাজ ছেড়ে অকারনে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকে পোস্ট দেখে যদি কাটিয়ে দেন তাহলে বুঝবেন আপনি ফেসবুক অ্যাডিক্টেড।

প্রশ্ন:ফেসবুকের নাম পরিবর্তন করে মেটা কবে রাখা হয়েছিল?

উত্তর:2021 সালের 9 জুন ফেসবুকের নাম পরিবর্তন করে Meta রাখা হয়েছিল।

প্রশ্ন:ফেইসবুক অ্যাডিক্টেড হওয়া থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করব?

উত্তর:ফেসবুক অ্যাডিক্টেড হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে ফেসবুক ব্যবহার কম করুন, বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথা বলুন, খেলাধুলা করুন এবং আপনার পছন্দের যেকোনো বই পড়ুন যা আপনার সার্বিক বিকাশে সহায়তা করবে।

আপনার জন্য আরো

1.আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচাতে কী কী করবেন ?

2.ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ট্রিক সম্পর্কে জেনে নিন

3.ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয়

4.যে কোনো সমস্যার সমাধানে ফেসবুকের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবেন ?

Leave a Comment