আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত কিনা কিভাবে জানবেন ?|How to check your computer have a virus ?

বর্তমানে আমাদের অনেকেরই ল্যাপটপ বা কম্পিউটার রয়েছে। দিন দিন কম্পিউটার ব্যাবহারকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে  এবং সেই সঙ্গে ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।  আমরা আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে অনেক প্রয়োজনীয় ফাইল সেভ করে রাখি যেগুলো ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হলে সেগুলো কোরাপ্ট হয়ে যায় ফলে ফাইল গুলো অনেক সময় হারাতে হয়।

সেই জন্য আমরা এই পোস্টে জানবো আমাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষণ। যেগুলো আপনাদের অনেক কাজে লাগবে।

ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

ধীর গতিতে কাজ করা

বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন কারণে আপনার কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ স্লো হয়ে যাতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার কম্পিউটারে SSD  লাগাতে পারেন।  কিন্তু আপনি যদি দেখেন যে আপনার কম্পিউটার SSD  লাগানোর পরও স্লো কাজ করছে তাহলে আপনি বুঝবেন যে হয়তো আপনার PC বা ল্যাপটপ ভাইরাস আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে আপনি একটি ভালো এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করতে পারে। কারণ আপনার ডিভাইসটি ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হলে আপনার কম্পিউটারটি স্লো হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 

ওপেন হতে দেরি হওয়া

আপনি যখন কম্পিউটার অন বা অফ করেন তখন যদি তা হতে অনেক বেশি সময় লাগে সে ক্ষেত্রেও আপনার ডিভাইসটি ভাইরাস দ্বারা এফেক্টেড হতে পারে।  তবে সব ক্ষেত্রে তা নয়। আপনার কম্পিউটার এ SSD এর পরিবর্তে HDD  লাগানো থাকলেও আপনার কম্পিউটার তুলনামূলক ভাবে একটু ধীর গতিতে ওপেন বা বন্ধ হতে পারে। 

আপনাআপনি রিস্টার্ট হওয়া

অনেক সময় কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আপনাআপনি রিস্টার্ট হয়ে যায় এটা আপনার কম্পিউটার এর RAM  এর সমস্যা হলে হতে পারে। কিন্তু যদি আপনার কম্পিউটারে RAM  এর কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে আপনার ডিভাইসটি ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে।

সফটওয়্যার বা কোনো এপ্লিকেশন ওপেন হতে দেরি হওয়া

আপনার কম্পিউটার যদি ভাইরাস আক্রান্ত হয় তাহলে কম্পিউটারে ইনস্টল করা প্রোগ্রামগুলি ঠিকমতো কোজ করবেনা অথবা সেগুলি ওপেন হতে বেশি টাইম লাগবে। এই রকম সমস্যা হলে আপনার কম্পিউটারটি অবশ্যই এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করা উচিত।

বার বার হ্যাং হওয়া

আপনার কম্পিউটার যদি বার বার হ্যাং হয় কোনোরকম ইন্টারনাল সমস্যা ছাড়াই তাহলে বুঝবেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত। সেক্ষেত্রেও আপনাকে এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে নেয়া দরকার।

অজানা সোর্স থেকে সফটওয়্যার ইনস্টল

আপনি যদি অজানা কোনো ওয়েবসাইট থেকে কোনো গান বা সিনেমা ডাউনলোড করেন তাহলে অনেক সময় দেখবেন যে বিভিন্ন এপ্লিকেশন ও সফটওয়্যার আপনা থেকেই ডাউনলোড হয়ে ইনস্টল হয়ে যাই। এই রকম সমস্যা হলে সফটওয়্যার গুলি আনইনস্টল করুন। আবার অনেক সময় সেগুলো আনইনস্টল হতে চাই না এরকম হলে বুঝবেন আপনার কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত।

সফটওয়্যার ইনস্টল ও আনইনস্টল না হওয়া

অনেক সময় আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যদি ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস আক্রান্ত হয় সেই সময় আপনি কোনো প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ইন্স্টল্ বা আনইনস্টল করতে পারবেন না। তাই এরকম সমস্যা হলে আপনি আপনার ডিভাইসটি স্ক্যান করে নিতে পারেন।

বার বার ERROR মেসেজ দেখানো

যদি আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অযথা এরর মেসেজ দেখায় তাহলে আপনার ডিভাইস টি এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে নিন। কারণ ভাইরাস আক্রান্ত হলেই ঘন ঘন error দেখায়।

ঘন ঘন পপ-আপ ওপেন হওয়া

আপনার কম্পিউটারে যদি বার বার পপ-আপ উইন্ডো আপনা থেকেই খুলে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার কম্পিউটারটি ভাইরাস আক্রান্ত।

বিজ্ঞাপন আসা    

আপনার কম্পিউটারে যদি অযথা উল্টো পাল্টা বিজ্ঞাপন আসে সেক্ষেত্রে সেই বিজ্ঞাপন কোথা থেকে আসছে তা চেক করুন। যদি না বুঝতে পারেন তাহলে এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করুন।

সবশেষে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যদি ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস আক্রান্ত হলে যদি আপনি কিছু বুঝতে না পারেন সেক্ষেত্রে আপনি কোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে কোনো কম্পিউটার এক্সপার্ট কে দেখাতে পারেন।  তাতে আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল গুলো ডিলিট হওয়া থেকে আপনি বাঁচাতে পারেন।

উপরিউক্ত সমস্যাগুলির মধ্যে আপনি কোন সমস্যার স্মুখীন হয়েছেন এবং কিভাবে তার সমাধান করেছেন অবশ্যই কমেন্ট করুন। 

FAQ.

প্রশ্ন: কম্পিউটার ধীরগতিতে কাজ করছে মানেই কি কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত?

উত্তর: না, অনেক সময় কম্পিউটারের  হার্ডওয়ার পুরনো হয়ে যাওয়ার ফলেও কম্পিউটার ধীরগতিতে কাজ করে। আপনি কম্পিউটারে HDD এর পরিবর্তে SSD লাগিয়ে আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়াতে পারেন।


প্রশ্ন:RAM এর ফুল ফর্ম কি?

উত্তর: RAM এর ফুল ফর্ম RANDOM ACCESS MEMORY ।


প্রশ্ন: ভাইরাস কে কবে আবিষ্কার করেছিলেন?

উত্তর: Demitri Ivanowsky ১৮৯২ সালে প্রথম ভাইরাস আবিষ্কার করেন।



প্রশ্ন: এন্টিভাইরাস কি? একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর: এন্টিভাইরাস হলো একপ্রকার প্রোগ্রাম  যা আপনার কম্পিউটারের ভাইরাসকে ডিটেক্ট করে সেগুলিকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। যেমন-Avast।


প্রশ্ন: আমাদের কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে কি করা উচিত?

উত্তর: সর্বপ্রথম একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর সাহায্যে আমাদের কম্পিউটারের ভাইরাসগুলিকে প্রতিরোধ করা দরকার।

Leave a Comment