আপনাদের বাড়িতে যদি পুরোনো কম্পিউটার থাকে, তাহলে তা ফেলে না রেখে তার ঠিকঠাক ব্যবহার করুন। বর্তমান যুগে কম্পিউটারের ব্যবহার এতটাই প্রচলিত যে আপনার পুরোনো কম্পিউটারও আপনার অনেক কাজে আসতে পারে। পুরোনো কম্পিউটারের নতুন কিছু ব্যবহার জেনে নেওয়া যাক।
এডুকেশনাল টুল
বাড়িতে পুরোনো কম্পিউটার থাকলে তা পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করলে ভালোই হয়। বাড়িতে নরমাল লেখাপড়ার করার কাজে খুব দামি বা পাওয়ারফুল কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় না। সেই জন্য বাড়িতে থাকা পুরোনো কম্পিউটার ডেডিকেটেড এডুকেশনাল রিসোর্স হিসেবে ব্যবহার করায় যায়। লেখাপড়া করার কাজে এতে আলাদা করে ডিভাইস ডেডিকেট করায় থাকবে ও লেখাপড়া অর্জন করতে সর্বোচ্চ ফোকাস থাকবে।
রিট্রো গেমিং কনসোল
আপনার পুরোনো কম্পিউটারটিকে গেমিং মেশিনে রূপান্তরিত করতে পারেন, ক্লাসিক গেমগুলো খালার জন্য। পুরোনো কম্পিউটার ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে নস্টালজিয়াকে পুনরায় পুনর্জ্জিবিত করার মাধ্যমে বর্তমান জেনারেশন রিট্রো গেমিং এর মজা উপভোগ করতে পারবেন।
মিডিয়া সার্ভার
আপনাদের ঘরের কম্পিউটারকে একটি হাব-এ (hub) পরিণত করতে পারেন ভিডিও, অডিও বা ছবি জমা রেখে স্ট্রিমিং করার মাধ্যমে। একাধিক স্ট্রিমিং ডিভাইস এর প্রয়োজন দূর হয়ে যাবে আপনার মিডিয়া লাইব্রেরি আপনার পুরাতন কম্পিউটারে জমা রাখার মধ্যে দিয়ে।
রিসার্চ এন্ড লার্নিং
একসঙ্গে অনেক জন মিলে একই প্রজেক্টে কাজ করলে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পুরোনো কম্পিউটারকে ব্যবহার করতে পারেন। আবার আইন-শৃঙ্খলার কাজে অথবা কোলাবোরেশান-ভিত্তিক কাজে পুরোনো কম্পিউটারকে ব্যবহার করে টিমওয়ার্ক করা যায় খুব সহজ ভাবে।
এতক্ষন ধরে আলোচনা করা হলো পুরোনো কম্পিউটারের নতুন কিছু ব্যবহার সম্পর্কে। এবার আপনার ঘরে যদি পুরোনো কম্পিউটার থেকে থাকে তাহলে ঘরের এক কোণায় ফেলে না রেখে যেকোনো কাজে ব্যবহার করা শুরু করে ফেলুন।
ডিজিটাল ফটো ফ্রেম
পুরোনো কম্পিউটারকে ব্যবহার করতে পারেন আপনার প্রিয় ছবি গুলো স্লাইডশো করে দেখানোর জন্য ডিজিটাল ফ্রেম হিসেবে। এর মধ্যে দিয়ে আপনি আপনার প্রিয় স্মৃতিগুলোকে খুব সুন্দরভাবে মনে রাখতে পারবেন।
টাস্ক-স্পেসিফিক ওয়ার্কস্টেশন
পুরোনো কম্পিউটারকে যেকোনো নির্দিষ্ট কাজ যেমন লেখালেখি, কোডিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মতো কাজ ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। পুরোনো কম্পিউটারের মাধ্যমে আরো কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্য ডেডিকেটেড ওয়ার্কস্পেস হিসেবেযে কোনো কাজের জন্য প্রফেশনাল বা ক্রিয়েটিভ প্রয়োজন। তাই পুরোনো কম্পিউটার বাড়িতে ফেলে না রেখে কাজে লাগান।
হোম অটোমেশন হাব
হোম অটোমেশন হাব এর রুপ দিতে পারবেন আপনার ঘরের পুরোনো কম্পিউটার ব্যবহার করে ঘরে থাকা লাইট, থার্মোস্ট্যাট এবং সিকিউরিটি ক্যামেরা কন্ট্রোল করার মধ্যে দিয়ে।
ইন্টারনেট ব্রাউজিং স্টেশন
ওয়েব ব্রাউজিং ও ইমেইল চেকিং এর কাজে ঘরে থাকা পুরোনো কম্পিউটারকে কাজে লাগাতে পারেন। হেভি সফটওয়্যার লোড করার মধ্যে দিয়ে আপনার কম্পিউটারের বাড়তি ঝামেলা না করে বরং দীর্ঘদিন ব্যবহার করুন ব্রাউজিং এর মত ছোটোখাটো টাস্ক ডেইলি করার মধ্যে দিয়ে।
ব্যাকাপ ডিভাইস
আপনার পুরোনো কম্পিউটরের গুরুত্বপূর্ণ যেসকল ফাইল গুলো আছে তাদের জমা রেখে একটি ব্যাকাপ ডিভাইস হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। ডাটা হারিয়ে যাওয়া বা করাপ্ট হওয়া বাঁচা যায় রেগুলার ব্যাকাপ নেওয়ার মাধ্যমে।
ফাইল সার্ভার
একটি ওয়ার্কিং ফাইল সার্ভার সেটাপ করা যায় ঘরে থাকা পুরোনো কম্পিউটার ব্যবহার করে হোম নেটওয়ার্কে থাকা সব ডিভাইসের মধ্যে ফাইল শেয়ারিং করে। যেকোনো ডিভাইস থেকে কোনো জমা রাখা কোনো ফাইল অ্যাকসেস করা যায় খুব সহজে একটি সেন্ট্রালাইজড স্টোরেজ সল্যুশন তৈরীর মধ্যে দিয়ে।
কম্পিউটার ভালো এবং নতুনের মতো রাখার উপায়
পুরোনো কম্পিউটার এর নতুন ব্যবহার জানলেই কম্পিউটার টেকসই হয় না এর মাধ্যমে নতুন সম্ভবনার অনুসন্ধান করা যায়। আরো নতুন নতুন ব্যবহার জানা যায় ও শেখা যায়।
আপনি যদি একটি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে হোম এন্টারটেইনমেন্ট সেটাপ আপগ্রেড করা থেকে শুরু করে বা এই নিয়ম গুলোকে ফলো করে
রিসার্চ সেটাপ এর নতুন কোনো মাত্রা অ্যাড করতে পারবেন। আবার পুরোনো কম্পিউটারকে আপনি আপনার বাড়ির যেকোনো কাজে পুনরায় ব্যবহার করার কথা ভাবতে পারেন এবং একে কাজের একটি ডিভাইস এর রুপ দিয়ে থাকে পারেন।
আপনার পুরোনো কম্পিউটারটিতে ধুলো জমিয়ে বিদায় দেওয়ার আগে এই উপায় এর সাহায্যে কম্পিউটারের নতুন ব্যাবহারের চিন্তা-ভাবনা করতে পারেন। পুরোনো কম্পিউটারের অনেক নতুন ব্যবহার রয়েছে, তার মধ্যে একটি ঠিকঠাক ব্যবহার জেনে নিয়ে পুরোনো কম্পিউটার ব্যবহার করুন। আপনার বাড়িতে যদি পুরোনো কম্পিউটার থাকে তাহলে সেটিকে বাড়িতে ফেলে না রেখে বা কম দামে বিক্রি না করে দিয়ে কাজে লাগান পুরোনো কম্পিউটারটিকে।
আপনাদের জন্য আরো
1.অনলাইনে গুগল ক্রোমে সেফ ব্রাউজিং ব্যবহার করে নিরাপদ থাকার উপায় জেনে নিন
2.উইন্ডোজ 11 স্বয়ংক্রিয় আপডেট নিষ্ক্রিয় করার 5 টি উপায়।