ফোন নতুন কেনার টাকা নেই ? পুরনো ফোনকেই নতুন রূপ দিন ! রইল সহজ উপায়

চলছে পুজোর মরশুম। উৎসবের আমেজে স্মার্টফোনে দারুন ডিসকাউন্ট দিচ্ছে Amazon, Flipkart-এর মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো। কিন্তু পকেটের বাজার একদম খারাপ। এদিকে পুরনো ফোনের দিকে তাকালেও হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যাচ্ছে। তাহলে এখন কি উপায় ?

পুরনো স্মার্টফোনের মেকওভার করতে হবে। বর্তমানে দু’ভাবে স্মার্টফোন কাস্টমাইজ করা যায়। হার্ডওয়্যার কাস্টমাইজেশন এবং সফটওয়্যার কাস্ট মাইজেশন। তাহলেই ফোন হয়ে যাবে নতুনের মতো। পুরনো ফোনকে, নতুন ফোনের মতো ভালবাসতে ইচ্ছা করবে।

পুরনো ফোনে যদি হার্ডওয়্যার কাস্টমাইজেশন করা হয়, তাহলে নতুন একটি কাস্টম স্কিন দেওয়া হয়। পাতি বাংলায় যাকে বলা হয় ‘কভার’। স্মার্টফোনের মডেলের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকম কভার হতে পারে। আর যদি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন থাকে, বিশেষ করে অ্যাপল বা স্যামসংয়ের মতো ব্র্যান্ডের, তাহলে ইউজারের কাছে আরও বেশি অপশন থাকবে কভারের।

কভার স্মার্টফোনকে স্ক্র্যাচ থেকে রক্ষা করে। আবার ফোনের আসল রঙ ধরে রাখতেও সাহায্য করে। আবার স্টাইলিশও দেখায়। কভারের দাম হয়ে থাকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা মতো। তবে প্রিন্ট, স্কিনের ফিটনেস, ব্যবহৃত উপাদান, ফিনিশের উপর ভিত্তি করে দাম বাড়তেও পারে।

ভারতে ফোন কভারের জন্য WrapKart, Gadgetshieldz, Slickwraps এবং Caps India সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। এদের ওয়েবসাইটে চোখ ধাঁধানো সব ডিজাইনার কভার রয়েছে। দামও নাগালের মধ্যে। চাইলে বাজার থেকেও কেনা যায়। বলা যায় না, অনলাইনের থেকেও হয়ত দূর্দান্ত ডিজাইন এবং সস্তা দামে মিলে গেল।

চলুন এবার কথা বলা যাক, সফটওয়্যার কাস্টমাইজেশন নিয়ে। প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হল লক স্ক্রিন এবং হোম স্ক্রিনের ওয়ালপেপার বদলে ফেলতে হবে। সত্যি বলতে, এটুকুতেই পুরনো স্মার্টফোন নতুন স্মার্টফোনের মতো দেখাবে। এর সঙ্গে ডার্ক মোড অন করা যায়। যার ফলে ফোনের চেহারাই বদলে যায়।

এরপর কাস্টম আইকন প্যাক ইনস্টল করতে পারেন ইউজার। বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনেই করা যায়। তবে আইফোনে সম্ভব নয়। iOS 18 ইউজাররা আইকনের কালার টোন বদলাতে পারেন। এর সঙ্গে কাস্টম লঞ্চারও পুরনো স্মার্টফোনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। নোভা-এর মতো লঞ্চার হোম স্ক্রিন কাস্টমাইজ করতে সাহায্য করবে।

যাঁরা আরও এক ধাপ এগোতে চান, তাঁরা কাস্টম ROM ইনস্টল করতে পারেন। স্মার্টফোন সম্পূর্ণ বদলে যাবে। তবে এতে কিছুটা ঝুঁকি থাকে। নিরাপত্তা নিয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত না হলে এটা করা ঠিক হবে না। কাস্টম OS বদল, অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস আনইনস্টল করাও উচিত। লেটেস্ট অ্যান্ড্রয়েড OS ভার্সনে আপগ্রেডও করে নেওয়া যায়।

আপনাদের জন্য আরো

1.Smartphone-এ মাঝে-মধ্যেই নেটওয়ার্ক চলে যাচ্ছে ? ইন্টারনেট স্পিড বাড়াবেন কীভাবে ? জেনে নিন

2.BSNL-এর এই সব প্ল্যানে লাভ অনেক ! খরচ ৩০০ টাকার কম

3.UPI ফ্রডে এইসব টেকনিক ব্যবহার করে প্রতারকরা ! জানুন সাবধানতার উপায়

4.Smartphone হাতে সবসময়ের জন্য আছে ? কি মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জানেন ?

Leave a Comment