ভারতবর্ষে ইন্টারনেট ডাটা খরচ অনেক কম হাওয়াই এবং high-performance মোবাইল ফোন সস্তা হওয়ায় গেম খেলার প্রচলন খুবই বেড়েছে। আপনি ইউটিউবে এমন অনেক চ্যানেল পেয়ে যাবেন যারা তাদের ক্যারিয়ার হিসাবে গেম খেলাকে বেছে নিয়েছে। আপনি যদি গেম খেলা কে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এবং একজন gamer হতে চান তাহলে সবার আগে যেটি দরকার সেটি হল একটি ভালো হাই পারফরম্যান্স মোবাইল অথবা একটি হাই পারফরম্যান্স গেমিং কম্পিউটার । আপনারা যদি একটি গেমিং কম্পিউটার কিনতে চান সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিকল্পনা এবং গবেষণার প্রয়োজন। গেমিং কম্পিউটার কিনা বা তৈরি করা বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। বিশেষ করে আপনি যদি একটি কাস্টম কম্পিউটার সেটআপ বানাতে চান সে ক্ষেত্রে একাধিক বিষয়ে বিবেচনা করা দরকার।
তো আসুন দেখে নেয়া যাক গেমিং কম্পিউটার তৈরি করতে কোন কোন বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে-
সঠিক গ্রাফিক্স কার্ড নির্বাচন করুন (Chose Right GPU)
গ্রাফিক্স কার্ড হল গেমিং কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই জন্য আপনি যদি অনেক টাকা খরচা করেও একটা গেমিং কম্পিউটার বানান কিন্তু তাতে কোন গ্রাফিক্স কার্ড না থাকে বা একটি নিম্নমানের গ্রাফিক্স কার্ড লাগিয়ে দেন সে ক্ষেত্রে আপনি গেম খেলে কোনরকম শান্তি পাবেন না। আপনার গেমের পারফরম্যান্স অনেকাংশে গ্রাফিক্স কার্ড এর উপর নির্ভরশীল। তাই গ্রাফিক্স কার্ড কেনার আগে গ্রাফিক্স কার্ড সম্পর্কে সঠিক এবং বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত যাতে গেম খেলার সময় কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স কার্ড রয়েছে। বাজারে দুটি কম্পানি বেস্ট কোয়ালিটির গ্রাফিক্স কার্ড তৈরি করে-
এই গ্রাফিক্স কার্ড হল গেমিং কম্পিউটার এর সবচেয়ে মূল্যবান পাট। তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে দু লক্ষ টাকা বা তার বেশি মূল্যের গ্রাফিক্স কার্ডও মার্কেটে রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনার জন্য কোনটা সঠিক।
এক্ষেত্রে বলে রাখি আপনি কেমন গেমিং করতে চান তার ওপর নির্ভর করছে আপনার গ্রাফিক্স কার্ড কেমন নেওয়া উচিত। যেমন ধরুন আপনি যদি 1080p গেমিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে মিনিমাম NVDIA 1650 4GB বা 1660 গ্রাফিক্স কার্ড নিতে হবে। আপনি যদি 4K গেমিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে মিনিমাম 2080 8GB বা তার উপরের সিরিজ গুলোর মধ্যে একটি নিতে হবে।
আর আপনি যদি প্রচুর বড়লোক হন আপনি টপ লেভেল এর 8K গেম খেলতে চান সে ক্ষেত্রে এনভিডিয়ার লেটেস্ট GEFORCE RTX 3090 Ti 24GB বা তার উপরে যদি কোনো গ্রাফিক্স কার্ড রিলিজ হয় সেটা নিতে পারেন। গ্রাফিক্স কার্ডগুলো দাম লক্ষাধিক টাকার বেশি হয়ে থাকে । আপনি যদি গেমিং নিয়ে খুব সিরিয়াস হোন এবং গেমিনি নিজের ক্যারিয়ার বানাতে চান শুধুমাত্র তাহলেই এত টাকা ইনভেস্ট করবেন।
এছাড়া আপনি চাইলে AMD RX 6900 সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড ইউজ করতে পারেন HIGH-PERFORMANCE 4K গেমিং এর জন্য।
সঠিক প্রফেসর বেছে নিন
গেমিং কম্পিউটার হোক আর নরমাল কম্পিউটার কম্পিউটারের প্রসেসর নির্বাচন খুব সাবধানে আপনার কাজের অনুযায়ী করা উচিত। আর আপনি যদি গেম খেলতে চান সে ক্ষেত্রে প্রসেসর নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি প্রসেসর এর পারফরম্যান্স তার core কাউন্ট এবং Thrade এর উপর নির্ভরশীল। বাজারে ২ থেকে শুরু করে ২৪ কোরের প্রসেসর রয়েছে। আপনার জন্য কোনটি সঠিক সেটা প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। আপনি যদি নরমাল গেম খেলতে চান সেক্ষেত্রে চারটি কোরের একটি প্রসেসর নিলেই যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যদি প্র লেভেলের গেম খেলতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি high-end এ প্রসেসর নিতে হবে যাতে মিনিমাম ৬টি বা তার বেশি কোর থাকে।
গ্রাফিক্স কার্ডের মত প্রসেসরের দুটি ভালো কোম্পানি মার্কেটে রয়েছে।
- ইন্টেল (INTEL)
- রাইজন (RYZEN)
আপনার যদি ইন্টেল পছন্দ হয় সেক্ষেত্রে আপনি যদি নরমাল গেমিং করতে চান তাহলে ইন্টেলের i3 নিলেই যথেষ্ট। আপনি যদি 1080p game খেলতে চান সে ক্ষেত্রে i5 বা i7 processor নিতে পারেন। আপনি যদি টপ লেভেলের ফোরকে গেমিং করতে চান সে ক্ষেত্রে intel i9 নিতে পারেন। আপনি যেমন প্রসেসর পছন্দ করবেন সেই অনুযায়ী তার দাম সেই রকম হবে।
আপনি যদি কম বাজেটে ভালো গেমিং প্রসেসর নিতে চান তাহলে রাইজন প্রসেসরের গুলোকেও চেক করতে পারেন। Ryzen 5 3600 হলো এমনি একটি পপুলার গেমিং প্রসেসর যাতে আপনি 6টি কোর এবং 6 থ্রেড পাবেন। এছাড়াও বর্তমানে ryzen এর বিভিন্ন নতুন প্রসেসর রয়েছে আপনি সেগুলো চেক করতে পারেন আপনার প্রয়োজন মত। যেমন-ryzen 5 3500,4600,5600x ইত্যাদি।
মাদারবোর্ড নির্বাচন
আপনার কম্পিউটারের সমস্ত পার্টস গুলো যেখানে কানেক্ট করবেন সেটি হলো আপনার মাদারবোর্ড। তাই যে কম্পনেন্ট গুলো নিচ্ছেন সেগুলো যাতে আপনার মাদারবোর্ড সাপোর্ট করে সেটাও দেখে নেয়া উচিত। মাদারবোর্ড কেনার ক্ষেত্রে কৃপণতা করবেন না আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যেরকম কম্পিউটার বানাতে চান সেই ধরনের মাদারবোর্ড কিনুন খুব বেশি দামের মাদারবোর্ড কেনার দরকার নেই যদি আপনি একটি বাজেট কম্পিউটার বা এন্ট্রি লেভেলের গেমিং কম্পিউটার বানাতে চান।
বর্তমানে গেমিং মাদারবোর্ড কেনার আগে তাতে m2 এসএসডি সাপোর্ট কিনা সেটা দেখে নেয়া উচিত। এছাড়া মাদারবোর্ডের v-ram অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত। মাদারবোর্ড এ কতগুলি ram স্লট আছে সেটাও দেখে নেওয়া উচিত কারণ ভবিষ্যতে যদি আপনি রেম বাড়াতে চান সেক্ষেত্রে আপনার রাম লাগানোর জন্য মাদারবোর্ডের জায়গা থাকা দরকার।
এছাড়া মাদারবোর্ডের ইউএসবি পোর্ট, গ্রাফিক্স কার্ড লাগানো জায়গা, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ইত্যাদি আছে কিনা দেখে নেয়া উচিত।
বর্তমানে মার্কেটে বিভিন্ন কোম্পানি মাদারবোর্ড বানিয়ে থাকে তারমধ্যে কয়েকটি পপুলার কোম্পানি হলো- Gigabyte, MSI, Asus, zebronics ইত্যাদি।
এগুলির মধ্যে যেকোনো একটি কোম্পানির মাদারবোর্ড আপনি নিতে পারেন যা আপনার জন্য সঠিক হবে। আপনার কম্পোনেন্টগুলো যদি হাই এন্ডের হয় সেক্ষেত্রে আপনার মাদারবোর্ড টিও হাই এন্ডের এর নেওয়া উচিত।
এছাড়া আপনার মাদারবোর্ডের লেটেস্ট বায়োস ইনস্টল আছে কিনা সেটাও জেনে নেওয়া উচিত।
হাই ফ্রিকোয়েন্সির RAM (রেনডম এক্সেস মেমোরি) ব্যবহার করুন
RAM এর পুরো কথা হচ্ছে রেনডম এক্সেস মেমোরি।বেশি Ram মানে বেশি পারফরম্যান্স দেবো এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। যে কোনো কম্পিউটারেRAM একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও RAM নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। কম্পিউটারে যেকোনো কোম্পানির RAM না লাগিয়ে একটি ভালো কোম্পানির (Corsair,Asus,G.Skill,XPG ADATA) RAM ব্যবহার করুন।
যে কোন গেম মুদলি চালানোর জন্য কম্পিউটারে আপনাকে মিনিমাম 16GB RAM ব্যবহার করতে হবে। সেই জন্য আপনি যদি 1080p গেমিং করেন তাহলে এটুকুই যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যদি 4K 60fps গেমিং করতে চান এবং একইসঙ্গে স্ট্রিমিং করতে চান তাহলে আপনি আরো এক্সট্রা 8GB-16GB RAM লাগাতে পারেন।
একইসঙ্গে RAM এর ফ্রিকুয়েন্সি আপনার চেক করা উচিত। কিছু কিছু RAM রয়েছে যা হাই ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে যেমন -3200MHz,3400MHz ইত্যাদি। এছাড়াও সর্বোপরি RAM টি DDR3 না DDR4 সেটাও দেখে নেয়া উচিত।
হাই স্পীড স্টোরেজ SSD (সলিড সেটা ড্রাইভ) ব্যবহার করুন
স্টোরেজের দিক থেকে হার্ডডিক্স এর তুলনায় SSD বহুগুণে ফাস্ট। এসএসসি দাম হার্ডডিস্ক তুলনায় বেশি হলেও আপনি যদি আপনার গেম স্মুথলি চালাতে চান আপনাকে অবশ্যই এসএসডির ব্যবহার করা উচিত।
এসএসডি আবার দুই প্রকারের হয় SATA SSD এবং M.2 SSD । এই দুই প্রকার এসএসডির মধ্যে M.2 NVME SSD সবথেকে ভালো এবং উচ্চ গতি সম্পন্ন। সেজন্য আপনি যদি একজন সিরিয়াস গেমার হন এবং একইসঙ্গে লাইভ স্ট্রিম করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে M.2 SSD ব্যবহার করা উচিত।
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির এসএসডি পেয়ে যাবেন কিন্তু তার মধ্যে SAMSUNG এর M.2 NVME SSD সবথেকে ভালো। এছাড়াও আপনি WD GREEN, GIGABYTE,CRUCIAL ইত্যাদি ভালো কোম্পানির এসএসডি ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার কমপিউটারের পারফরমেন্স বহুগুণে বৃদ্ধি করবে।
পাওয়ার সাপ্লাই (SMPS)
গেমিং কম্পিউটারে গ্রাফিক্স কার্ড লাগানো থাকে যার জন্য বেশি পাওয়ারের প্রয়োজন হয়। সেই জন্য আপনার গ্রাফিক্স কার্ড এবং প্রসেসর যেমন পাওয়ারফুল হবে তেমনি আপনার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট অর্থাৎ এসএমপিএস ততোই পাওয়ারফুল হওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি নরমাল গেমিং পিসি তৈরি করেন সেক্ষেত্রে 500 থেকে 600 ওয়াটের এসএমপিএস নিলেই যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যদি একটি হাইএন্ড এর গেমিং পিসি তৈরি করেন যেখানে ইন্তেল i9 প্রসেশ্বর এবং NVDIA RTX 3090 এর মত শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ড ইউজ করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অধিক শক্তিসম্পন্ন 800 থেকে হাজার ওয়াট পর্যন্ত SMPS নিতে হতে পারে। আপনার এস এম পি এস এর পাওয়ার নির্ভর করছে আপনার অন্যান্য যে সমস্ত কম্পনেন্ট ইউজ করেছেন তার ওপর।
এসএমপিএস বিভিন্ন কোম্পানি বানিয়ে থাকে যেমন zebronics, Coursier, gigabyte ইত্যাদি এবং তাদের বিভিন্ন কোয়ালিটি অনুযায়ী সেগুলিকে রেটিং করা হয় ব্রোঞ্জ, গোল্ড ইত্যাদি বিভিন্ন নামে। আপনি যদি একটি হাইএন্ডের পিসি বানাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সবসময় গোল্ড রেটেড SMPS কেনা উচিত।
হাই রিফ্রেশ রেট গেমিং মনিটর
আপনার সব টাকা CPU বানাতে লাগিয়ে দেবেন না আপনার মনিটর যেটা আপনাকে আউটপুট দেবে সেটার কথাও মাথায় রাখবেন। মনিটর কেনার সময় দুটো জিনিস মাথায় রাখবেন এক নম্বর হচ্ছে রিফ্রেশ রেট এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে রেজুলেশন।
আপনি যদি অনলাইন যে সমস্ত গেম আছে সেগুলি খেলেন সেক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার রিফ্রেশ রেট যত বেশি হবে এবং যত রেসপনসিভ হবে ততই আপনার গেম প্লে স্মুদ হবে। আপনি ডিসপ্লে রেজুলেশন কমপক্ষে ফুল এইচডি রাখার চেষ্টা করুন জাতি আপনার গেম এর আউটপুট ভালো হয়। আপনি যত হাই এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড ইউজ করুন না কেন আপনার ডিসপ্লে যদি ভালো না হয় তাহলে কখনোই আপনি ভাল আউটপুট পাবেন না।
এছাড়াও আপনার মনিটরে freesync ,HDR, ইত্যাদি ফিচারগুলো আছে কিনা অবশ্যই দেখে নেবেন।
এছাড়া আপনার মনিটর VGA,LED না IPS সেটাও অবশ্যই দেখে নেবেন।
গেমিং কেবিনেট
আপনার মাদারবোর্ডের সাইজের উপর আপনার গেমিং কেবিনেট কত বড় হবে তা অনেকাংশে নির্ভর করে। মার্কেটে বিভিন্ন প্রকার গেমিং কেবিনেট রয়েছে মিনি কেবিনেট, স্ট্যান্ডার মিডিয়াম সাইজের কেবিনেট এবং বড় কেবিনেট।
আপনার মাদারবোর্ড যদি full ATX সাইজের হয় তাহলে আপনাকে মিডিয়াম সাইজের অথবা বড় কেবিনেট নিতে হবে।
আপনার কেবিনেট এমন হওয়া উচিত যাতে তার মধ্যে বাতাস চলাচল করতে পারে খুব সহজে কারণ গেমিং কম্পিউটার এর যে সমস্ত পার্ট গুলো লাগানো থাকবে এগুলোকে ঠান্ডা করবার জন্য কেবিনেট এর মধ্যে এয়ার ফ্লো ভালো হওয়া খুবই প্রয়োজন।
এছাড়া যদি আপনি কেবিনেট এর মধ্যে ওয়াটার কুল করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে মিডিয়াম থেকে বড় কেবিনেট নিন। এছাড়াও মার্কেটিং বিভিন্ন ধরনের আরজিবি ফ্যান যুক্ত কেবিনেট পাওয়া যায় যেগুলো আপনি ইউজ করতে পারেন। এই আরজিবি ফ্যান গুলো আপনার কেবিনেটের মধ্যে এয়ার ফ্লো ভালো রাখে এবং আপনার কেবিনেটটিও দেখতে আকর্ষণীয় করে তোলে।
মেকানিক্যাল গেমিং কিবোর্ড
গেম খেলার জন্য একটি ভালো কোয়ালিটির কিবোর্ড থাকা খুবই জরুরী। সেই জন্য গেম খেলার জন্য আপনি মেকানিক্যাল গেমিং কিবোর্ড গুলো নিতে পারেন যার দাম একটু বেশি হলেও পারফরম্যান্স খুবই ভালো।
বিভিন্ন কোম্পানি মেকানিক্যাল গেমিং কিবোর্ড বানিয়ে থাকে তাদের মধ্যে অন্যতম হল Asus, zebronics, MSI, anti sports ইত্যাদি।
গেমিং মাউস
গেম খেলার জন্য আরেকটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কমপনেন্ট হল মাউস। আপনার মাউসের কোয়ালিটি আপনার গেমিং পারফরমেন্সকে বুস্ট করে। আপনার মাউসের ডিপিআই যত বেশি হয় আপনার মাউসটিও ততোই রেস্পন্সিভ এবং স্মুথ হয়।
মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের গেমিং মাউস এভেলেবেল রয়েছে। আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী একটি ভালো কোয়ালিটির মাউস কিনতে পারেন।
গেমিং হেডফোন
আপনি যদি আপনার গেমের সাউন্ড এবং কথাগুলো স্পষ্ট ভাবে বুঝতে না পারে সেক্ষেত্রে আপনার নানান অসুবিধা হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যখন অনলাইনে কোন কম্পিটিশনের গেম খেলবেন তখন আপনার পার্টনারের কথাটি আপনি না শুনতে পায় সে ক্ষেত্রে আপনার হার নিশ্চিত।
সেই জন্য গেম খেলার সময় অবশ্য একটি গেমিং তার যুক্ত হেডফোন ব্যবহার করুন। অনেকে ওয়ারলেস হেডফোন ব্যবহার করে কিন্তু এমনটা করা কখনই উচিত নয় যদি আপনি কোন কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করেন এবং অনলাইন গেম খেলেন। কারণ ওয়্যারলেস হেডফোনে যে সাউন্ড শোনা যায় তা কিছুক্ষন পরে শোনা যায় যা আপনার গেমের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। সেই জন্য তারযুক্ত হেডফোন ব্যবহার করুন যদি আপনি অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেম খেলেন ।
বিভিন্ন কোম্পানি গেমিং হেডফোন বানিয়ে থাকে তাদের মধ্যে কয়েকটি ভালো কোম্পানির নাম হল রেড গিয়ার, হাইপার এক্স ইত্যাদি।
উপসংহার
বন্ধুরা আপনারা যদি গেম খেলতে খুব ভালোবাসেন এবং গেমিং কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে গেমিং কম্পিউটার খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস তাই এটি কিনার আগে অবশ্যই রিসার্চ করুন । আপনি যদি এই বিষয়ে দক্ষ না হন তাহলে আপনার কোন বন্ধুর সাহায্য নিতে পারেন। এই বিষয়ে যদি কোন রকম প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন আমরা আপনাকে সাহায্য করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
FAQ.
প্রশ্ন:গেমিং কম্পিউটার এ কত জিবি গ্রাফিক্স কার্ড লাগানো উচিত?
উত্তর:গেমিং কম্পিউটারে কত জিবি গ্রাফিক্স কার্ড লাগাবেন সেটি নির্ভর করে আপনার বাজেটের উপর এবং আপনি কেমন গেমিং করবেন তার ওপর তবে মিনিমাম 4 জিবি গ্রাফিক্স কার্ড বর্তমান AAA টাইটেল গেমগুলি খেলার জন্য লাগানো আবশ্যক।
প্রশ্ন:১০,০০০টাকার মধ্যে সবচেয়ে ভালো গেমিং মাদারবোর্ড কোনটি?
উত্তর:১০ হাজার টাকার মধ্যে একাধিক ভালো গেমিং মাদারবোর্ড পেয়ে যাবেন তার মধ্যে MSI,ASUS,GIGABYTE এই সমস্ত কোম্পানির গেমিং মাদারবোর্ড গুলির VRAM যথেষ্ট ভালো হয় সেগুলির মধ্যে থেকে যে কোন একটি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি নিতে পারেন।
প্রশ্ন:গেমিং এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট কোনটি?
উত্তর: GPU অর্থাৎ গ্রাফিক্স কার্ড।
প্রশ্ন:গেমিং এর জন্য একটি ভালো মাউস?
উত্তর:গেমের জন্য একাধিক ভালো মাউস রয়েছে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে সমস্ত মাউসের রেসপন্সটাইম কম সেগুলির মধ্যে থেকে যে কোন একটি বেছে নিতে পারেন।
যেমন- Logitech G402,G502 ইত্যাদি।
প্রশ্ন:গেমিং এর জন্য কি ধরনের হেডফোন কেনা উচিত?
উত্তর: আপনি যদি অনলাইন গেম খেলেন সে ক্ষেত্রে আপনার বাজেট যদি কম থাকে অবশ্যই একটি ওয়ার্ড হেডফোন ব্যবহার করা উচিত কারণ ওয়ারলেস হেডফোনগুলিতে রেসপন্স টাইম একটু বেশি হয় যার জন্য আপনার গেম খেলায় প্রভাব পড়তে পারে । কিন্তু আপনি যদি অফলাইন গেম খেলেন সেক্ষেত্রে আপনি ওয়ারলেস হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে আপনি যদি কোন কম্পিটিটিভ গেম খেলেন অবশ্যই তার যুক্ত হেডফোন ব্যবহার করা উচিত কারণ এতে রেসপন্সটাইম খুবই কম হয় যে আপনার গেমিং এক্সপেরিয়েন্স কে আরো উন্নত করে।
আপনার জন্য আরো
1.মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে আমাদের কিছু ভুল ধারণা
2.কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর 10 টি সুপার হট টিপস
3.উইন্ডোস কম্পিউটারের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সেটিংগুলো চালু করুন
4.আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত কিনা কিভাবে জানবেন ?