বিটকয়েনের দুনিয়ায় নতুন মাইলফলক—ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এর মূল্য $100,000 ছাড়িয়ে গেছে। এই ঊর্ধ্বগতির পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছে প্রেসিডেন্ট–ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন, যা মার্কিন নীতিতে এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
ট্রাম্পের প্রভাব
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের মাধ্যমে ক্রিপ্টো প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, বর্তমান “প্রয়োগকেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণ” পদ্ধতির পরিবর্তে পরিষ্কার এবং উদ্ভাবন–বান্ধব নিয়ম চালু হবে। পাশাপাশি হোয়াইট হাউসে ডিজিটাল সম্পদ নীতি নিয়ে একটি আলাদা বিভাগ চালু করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যা ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রিকে আরও শক্তিশালী করবে।
এর পাশাপাশি, মার্কিন সিনেটে সিনেটর সিনথিয়া লুমিস প্রস্তাবিত বিটকয়েন অ্যাক্ট বড় গুরুত্ব পাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ গঠনের আহ্বান জানায়। এই আইনের মাধ্যমে মার্কিন ডলারকে আরও সুরক্ষিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে [6] [7]।
বাজারের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের এই ইতিবাচক অবস্থানের পর থেকে বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার প্রায় $900 বিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় বড় বিনিয়োগকারীরা যেমন মাইক্রোস্ট্রাটেজি, আরও বিটকয়েন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে, যা বাজারের আস্থা বাড়িয়েছে [7]।
একটি নতুন যুগের সূচনা ?
ক্রিপ্টো শিল্পের নেতারা মনে করছেন, ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিপ্টো উন্নয়নের বৈশ্বিক হয়ে উঠতে পারে। কইনবেসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। তবে, এই দ্রুত ঊর্ধ্বতগতি নিয়ে সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
বিটকয়েনের এই সাফল্য শুধু আর্থিক ক্ষেত্রে নয়, রাজনীতিতেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখায়। সঠিক নীতিমালা কার্যকর হলে, ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্ব অর্থনীতির গতি–প্রকৃতি আমূল বদলে দিতে পারে।
আপনাদের জন্য আরো
1.XRP Becomes Third Largest Cryptocurrency, Surpassing USDT and Solana
2.iPhone 15 Pro–তে শর্তহীন ৩৫,০৯৯ টাকা ছাড়! এবার কিনুন আপনার স্বপ্নের স্মার্টফোন
3.Redmi Note 14–এর ভারতীয় মূল্য প্রকাশের আগে ফাঁস: কী জানা যাচ্ছে